আপনার মন্তব্য পাঠাতে ফর্মটি ব্যবহার করুন৷
আপনার বার্তা
বিষয়
আপনার বার্তা
আপনার নাম
নামের শেষাংশ
লিঙ্গ



ইমেল ঠিকানা
শহর
দেশ

ঝালকাঠিতে দাখিল পরীক্ষা: ৯ শিক্ষক অব্যাহতি, ১২ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশিত - ১৭ এপ্রিল, ২০২৫   ১০:০৩ পিএম
webnews24
ছবি: || ওয়েব নিউজ
মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ – ঝালকাঠির নলছিটিতে চলতি দাখিল পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৮ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে, তাদের সহযোগিতা করায় ৯ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের হদুয়া বৈশাখিয়া কামিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নকলে সহযোগিতা করার জন্য ৭ জন পরিদর্শক এবং দায়িত্ব অবহেলা করার জন্য কেন্দ্র সচিব আব্দুর রব ও হল সুপারসহ ৯ শিক্ষককে পরবর্তী সব পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম।

বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীরা: বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন: শ্রাবনী আক্তার, হাফিজুল ইসলাম, তাওহীদুল ইসলাম, মোস্থাফিজুর রহমান, রবিউল খান, রাইয়ান, আব্দুল্লাহ এবং মো. সায়েম। তারা সবাই হদুয়া বৈশাখিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকরা: তালিকায় রয়েছেন: কেন্দ্র সচিব মো. আব্দুর রব (ছালেহিয়া দাখিল মাদরাসা) হল সুপার মো. হোসাইন,সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (ছৈলাবুনিয়া দাখিল মাদরাসা),সহকারী শিক্ষক মাহামুদুল হাসান (তালতলা দাখিল মাদরাসা),শিক্ষক এমদাদুল হক (পাইলট দাখিল মাদরাসা),শিক্ষক রেজাউল করিম (ডেবরা দাখিল মাদরাসা),শিক্ষক জহিরুল ইসলাম (ভেরনবাড়িয়া মাদরাসা),শিক্ষক নিবারন জোমাদ্দার (চরআমতলী দাখিল মাদরাসা),সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন (তালতলা দাখিল মাদরাসা)

এ ঘটনায় প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ: অভিযোগ অনুযায়ী, পরীক্ষা কেন্দ্রটি উপজেলা শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করায় পরিদর্শকদের নজরদারি ছিল ঢিলেঢালা। পরীক্ষা শুরুর দিনেই একটি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আসলে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে বই, নকলের কাগজ এবং খাতা দেখে লেখার প্রমাণ পাওয়ার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য: নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "বই, কাগজ ও দেখাদেখি করে লেখার কারণে ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করায় ৭ শিক্ষক এবং দায়িত্ব অবহেলার কারণে কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। যেকোনো কেন্দ্রে পরীক্ষায় অনিয়ম পেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"

রাজাপুর উপজেলাতেও কঠোর ব্যবস্থা: এছাড়া, রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে মিম আক্তার এবং মাফিয়া আক্তার নামে দুই শিক্ষার্থী, গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মো. মুইন হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থী এবং কানুদাসকাঠি ইসলামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে সিমা নামে এক শিক্ষার্থী পরীক্ষার নিয়ম ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়। রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান: রাজাপুর ইউএনও রাহুল চন্দ বলেন, "পরীক্ষায় কোনো ধরনের অসদুপায় বরদাশত করা হবে না। সুষ্ঠু এবং নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।" তিনি অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, "শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে সচেষ্ট হোন, এবং কোনো শিক্ষক যেন প্রতিযোগিতার লোভে অনৈতিক কার্যক্রমে জড়ান না।"

প্রশাসনের পদক্ষেপে সন্তুষ্টি: এ বিষয়ে সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীরা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং সুষ্ঠু পরীক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে আরও কঠোর মনিটরিংয়ের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব দিয়েছেন।

বরিশাল ঝালকাঠি
ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টা