![]() |
ওয়েব নিউজ |
সন্দেহভাজন মানবপাচারকারীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণের মুখোমুখি করতে নতুন বিধিনিষেধ আনতে যাচ্ছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। ২০২৪ সালে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে পৌঁছাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৪ অভিবাসনপ্রত্যাশী।
যুক্তরাজ্য সরকার ২ জানুয়ারি জানিয়েছে, সন্দেহভাজন মানবপাচারকারীরা ব্রিটেনের নতুন আইনের অধীনে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি করা হবে। অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
লন্ডন জানিয়েছে, সংগঠিত অভিবাসী পাচার নেটওয়ার্কগুলোকে ধ্বংস করতে সহায়তা করার জন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ভ্রমণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, ‘‘আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও ক্ষমতা দেব যা তাদের এসব কুখ্যাত নেটওয়ার্কগুলোকে অনুসরণ করতে এবং বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দেবে।”
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সীমান্ত সুরক্ষাকে সম্প্রতি প্রণীত পরিকল্পনার অন্যতম ভিত্তি হিসাবে বর্ণনা করেছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মধ্যে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম শিপিং লেন ও ইংলিশ চ্যানেলজুড়ে মানবপাচারকারী গ্যাং মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুসারে ২০২৪ সালে ৩৬ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ বিপজ্জনক পারাপারের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে এসেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা রিফিউজি কাউন্সিল শরণার্থী ২০২৪ সালকে চ্যানেল পারাপারের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক বছর বলে অভিহিত করেছে।
ইতিমধ্যে ৭৪ জন অভিবাসী নিহত বা নিখোঁজের তথ্য পাওয়া গেছে যা ২০১৯ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমন বলেন, “সরকারকে একটি ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হবে০ যাতে ২০২৫ সালে গত বছরের ধ্বংসাত্মক ক্ষতির পুনরাবৃত্তি না হয়।”
ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পিত আইন সংগঠিত অভিবাসন অপরাধসহ সন্দেহভাজন গুরুতর অপরাধকে ব্যাহত এবং প্রতিরোধ করার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের অনুমতি দেবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।