![]() |
ওয়েব নিউজ |
ব্যস্ত শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। নাড়ীর টানে ব্যস্ত শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন বাকি থাকতেই উত্তরাঞ্চলের পথে বেড়েছে মানুষ ও যানবাহনের চাপ। তবে, এখন পর্যন্ত ভোগান্তির কোনো চিত্র দেখা যায়নি।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলের পরপর শিল্প কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে পুরোপুরি ঈদযাত্রা শুরু হবে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবছর ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বিআরটিএ।
সরেজমিনে ঘুরে শনিবার রাত ও রোববার দুপুর পর্যন্ত শিল্প অধ্যুষিত আশুলিয়া, নবীনগর, বাইপাইল ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। আগাম টিকিট সংগ্রহ করা যাত্রীরা আগে থেকেই পরিবার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন গ্রামে। ভোগান্তি এড়াতে কেউ কেউ আবার পরিবারের সদস্যদের আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যারা টিকেট কাটেননি বা টিকেট পাননি, তারাও যাচ্ছেন লোকাল বাসে যাচ্ছেন।
রবিবার সকালে জামালপুর যাওয়ার জন্য বাইপাইল এলাকায় অপেক্ষমান যাত্রী রফিক হোসেন বলেন, একটু আগেভাগেই পরিবার-পরিজনদের গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। গার্মেন্টস কারখানা ছুটি হলে ৫০০ টাকার ভাড়া ৮ থেকে ৯শ টাকা গুনতে হবে। এছাড়াও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লে যানজট দেখা দেওয়ারও শঙ্কা রয়েছে, তাই তাদেরকে আগেভাগেই পাঠিয়ে দিচ্ছি।
এদিকে, ঈদযাত্রা নির্বিগ্ন করতে উত্তরাঞ্চলের ২৩ জেলার প্রবেশদ্বার বাইপাইল মোড় ইতোমধ্যে সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাসড়কে যাত্রী বেড়েছে শনিবার সকাল থেকে। পুরোপুরি ঈদযাত্রা শুরু হবে রোববার রাতের পর থেকে। কারণ তখন অধিকাংশ শিল্প কারখানায় ঈদের ছুটি ঘোষণা হবে।
আশুলিয়া বাইপাইল ট্রাফিক বক্সের (টিআই) জাহিদ বলেন, মহাসড়কে যাত্রী বাড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।