আপনার মন্তব্য পাঠাতে ফর্মটি ব্যবহার করুন৷
আপনার বার্তা
বিষয়
আপনার বার্তা
আপনার নাম
নামের শেষাংশ
লিঙ্গ



ইমেল ঠিকানা
শহর
দেশ
ফারিয়ার সভাপতির অভিযোগ চাঁদা দাবির বিচার না হলে ঔ

ভৈরবে সকল বেসরকারী ক্লিনিক হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহ তিনদিন যাবত বন্ধ

User Image
  শাহিদুল তন্ময়
প্রকাশিত - ০২ এপ্রিল, ২০২৪   ১০:৫৬ এএম
webnews24
ভৈরব ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিস্ট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন । ছবি: ওয়েব নিউজ
সজীব আহমেদ, ভৈরব প্রতিনিধি

ভৈরবের ৩৪ টি বেসরকারী ক্লিনিক হাসপাতালে তিনদিন যাবত ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি সংগঠন ফারিয়ার ভৈরব শাখার সভাপতি মুন্সি পায়েল আজ সোমবার দুপুরে স্থানীয় টিভি সমিতির অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক অভিযোগ করেন হাসপাতাল মালিকদের সংগঠন ভৈরব ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিস্ট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোশারফ হোসেন ও  সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমানসহ  সংগঠনের নেতারা তাদের অনুষ্ঠানের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। 

এই চাঁদার টাকা দিতে না পারায় তারা চারটি ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিকে  হাসপাতালে নিষিদ্ধ ঘোষনার নোটিশ দিয়েছে। একারনে আমরা ভৈরবের সকল বেসরকারী ক্লিনিক হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রেখেছি। সাংবাদিকদের সাথে অভিযোগ দেয়ার  সময় উপস্থিত ছিলেন ফারিয়া, ভৈরব শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজারদের মধ্য যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলো এসকেএফ ফার্মার আব্বাছ আলী, এসিআই কোং  শাহজাহান বেপারি, জেনারেল ফার্মাসিটিক্যাল কোং মোঃ ইসহাক, এশিয়াটিক কোং মফিজ উদ্দিন, সোসাটেক ফার্মাসিটিক্যাল কোং উজ্জল কুমার পাল, ইনসেপ্টা কোং মোঃ সায়েম প্রমূখ।

তিনদিন যাবত বেসরকারী  হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহ না করায় রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। রোগীদের এক অভিভাবক হাশমত আলী বলেন, আমি রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে ডাক্তাদের প্রেস্কিপশনের ঔষধ বাইরের ফার্মেসী থেকে কিনে এনেছি। এমন অভিযোগ রয়েছে আরও অনেকের। 

ফারিয়া, ভৈরব শাখার সভাপতি মুন্সি পায়েল অভিযোগে বলেন, হাসপাতাল মালিকদের সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন অনুষ্ঠানের জন্য তারা গত তিনমাস আগে  একলাখ টাকা আমাদের কাছে চাঁদা  দাবি করেন। আমাদের বিভিন্ন কোম্পানীর কর্মকর্তাদের কাছে ডাঃ মিজানুর রহমান ফোন করে ১০/১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। কোম্পানীগুলি এত পরিমান টাকা চাঁদা দিতে রাজী হয়নি, তবে আমরা তাদের দাবির  ৪০ হাজার টাকা দিতে সম্মত ছিলাম। হঠাৎ করে তারা হাসপাতালগুলিতে নোটিশ দিয়ে চারটি কোম্পানীর প্রতিনিধিকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করলে আমরা গত শনিবার থেকে হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রাখি। তবে সরকারী হাসপাতালে ও ফার্মেসীতে ঔষধ সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছে কোং প্রতিনিধিরা। নোটিশ দেয়ার পর হাসপাতাল মালিকরা আমাদের পাওনা প্রায় ৪ কোটি টাকা পরিশোধ করছেনা। সামনে ঈদ, পাওনা টাকা না দিলে কর্মচারীরা বেতন বোনাস পাবেনা তার দাবি।  তিনি আরও অভিযোগ করেন, ডাঃ মিজানুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, ডক্টরস এসোসিয়েশনের আহবায়ক, আবার তিনি নিজকে সাংবাদিক দাবি করে অনেককে হুমকি দুমকি দিচ্ছে । আমাদের প্রতিনিধিগন এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। এছাড়া তার ম্যানেজার জাভেদ ও ইউনাইটেড হাসপাতালের এমডি সুমন তাদেরকে হুমকি দিয়েছে, হাসপাতাল থেকে প্রতিনিধিদেরকে বের করে দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ফারিয়ার প্রতিনিধিরা বেসরকারী  হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহ করবেননা বলে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, ফারিয়ার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক। তবে তারা কথা ঘূরিয়ে অনুদান দাবির কথা স্বীকার করেছেন। তারা বলেন, হাসপাতাল, ক্লিনিকে ঔষধ কোম্পানীর বিভিন্ন প্রতিনিধিরা সবসময় উপস্থিত থেকে ডাক্তারদের প্রেস্কিপশন ছবি তোলা, অর্ডার নেয়া, আর্থিক লেনদেন করে বিরক্ত, জ্বালাতন করেন। একারনে চারটি কোম্পানীর প্রতিনিধিকে নিষিদ্ধ করায় ফারিয়ার সভাপতি  ক্ষিপ্ত হয়ে এঅভিযোগ  করেছেন বলে তাদের দাবি। ঔষধের পাওনা টাকা পরিশোধ করছেনা কথাটি তিনি অস্বীকার করেছেন।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন