ওয়েব নিউজ |
ইটালির দক্ষিণের দ্বীপ লাম্পেদুসার কাছে ভূমধ্যসাগরে একটি অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় চার মাসের এক শিশুসহ তিন জন নিখোঁজ হয়েছেন৷ ২৯ ফেব্রুয়ারি ইটালির বার্তা সংস্থা আনসা এ তথ্য জানিয়েছে৷
জার্মান দাতব্য সংস্থা কম্পাস কালেকটিভ জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে দুর্দশাগ্রস্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে নিয়োজিত তাদের জাহাজ ট্রোটামার-৩-এর নাবিকেরা বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় অভিবাসীবাহী একটি নৌকা দেখতে পান৷ ছোট্ট নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ ছিলেন বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
কম্পাস কালেক্টিভ আরো জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযানের সময় ওই তিন জন পানিতে পড়ে যান৷ নৌকাটিতে মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন৷ তাদের মধ্যে ৩১ জনকে উদ্ধারের পর ট্রোটামার-৩ জাহাজে তোলা হয়৷
ইটালির উপকূলরক্ষীদের জাহাজে নেয়া হয় ১১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে৷
নিখোঁজ তিন জন মারা গেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ তবে, তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইটালির উপকূলরক্ষীদের টহল জাহাজ৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন কোন দেশের নাগরিক ছিলেন তা এখনো জানা যায়নি৷
এর আগে, ২২ মার্চ রাতে ৪৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে আসা একটি নৌকাও ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়৷ ওই ঘটনায় সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ হয় ১৫ মাস বয়সি একটি শিশু৷
উত্তর আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পৌঁছানোর বিপজ্জনক যাত্রায় প্রায়ই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটছে৷ এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসাবে সমুদ্র অনুপযোগী নৌকার ব্যবহার, ধারণক্ষমতার বেশি মানুষকে নৌকায় তোলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷
টিউনিশিয়ার উপকূল থেকে লাম্পেদুসার দূরত্ব কম হওয়ায়, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে ইটালির ছোট্টদ্বীপ অন্যতম প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে৷
অভিবাসনের ক্ষেত্রে ভূমধ্যসাগরীয় রুটটিকে সবচেয়ে মারাত্মক হিসাবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম৷ উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া ও টিউনিশিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইউরোপের দক্ষিণে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন৷
২০২৩ সালে এই পথে অন্তত তিন হাজার ১২৯ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷ আর ২০১৭ সাল থেকে হিসাবে নিলে এই অভিবাসন রুটে ২০২৩ সালেই সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন৷