![]() |
ওয়েব নিউজ |
ঝালকাঠিতে রমজানের ষষ্ঠ ও সপ্তম দিনে মানুষ বিপাকে পড়েছেন মুরগি নিয়ে। শহরের বাজার থেকে হঠাৎ দুইদিন ধরে ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালীসহ সব ধরনের জাতের মুরগি উধাও কোথায়ও পাওয়া যাচ্ছে না কোন ধরনের মুরগি। কৃষি বিপণন অধিদফতরের পক্ষ থেকে মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বাজার থেকে সবধরনের মুরগি সরিয়ে ফেলেছেন তারা। খাঁচাগুলো মুরগিশূন্য দেখা গেছে।
সোমবার মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বিক্রেতারা। মুরগির সংকট দূর করতে একটি খামার থেকে মুরগি এনে শহরের চাঁদকাঠি বাজার এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট দাঁড়িয়ে থেকে সরকার নির্ধারিত দামে মুরগি বিক্রি করিয়েছেন। ব্রয়লার ও সোনালী জাতের ২০০ মুরগি এ সময় বিক্রি করা হয়। ব্রয়লার ১৭৫ টাকা এবং সোনালী প্রতিকেজি ২৬২ টাকা করে বিক্রি করেন এক খামারি। বিক্রেতারা জানান, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দামের কারণে ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি পাইকারি বিক্রি করছেন না খামারের মালিকরা। তাই বাজারের দোকান গুলোতে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় একাধিক মুরগি বিক্রেতা জানিয়েছেন, পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে যে দামে মুরগি কেনেন তা থেকে ১০-১৫ টাকা লাভ রেখে তারা বিক্রি করেন। সকালে খামারে মুরগি কিনতে গেলে ব্রয়লার পাইকারি ১৯৫, লেয়ার ২৯০ ও সোনালী ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রির কথা বলেছে মালিকরা।
এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, অল্পদামে ব্রয়লার মুরগি সব ক্রেতারই ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বিক্রেতারা বাজারে মুরগি উঠাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই।ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় এলাকার মিজান জানান, রমজানে মধ্যবিত্ত মানুষের অল্পদামে ব্রয়লার মুরগীই কিনে থাকে।বাজারে গিয়ে মুরগী না পেয়ে খালি হাতেই ফিরেছেন তিনি।এবিষয়ে ঝালকাঠি কৃষি বিপনন অধিদফতরের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আব্দুল মতিন বলেন, খামারী পর্যায়ে উৎপাদন খরচ পর্যালোচনা করে খুচরা বাজারে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপনন অধিদফতর। এর মধ্যে মুরগীর দামও নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিষয়টি বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বাজারদর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাতে ক্রয়মূল্যের চেয়ে বিক্রয়মূল্য কম হয়েছে। ফলে,ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।