শাহিদুল তন্ময় |
চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করতে নেমে সিরিজে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ জড়ো করেছে ২৮৬ রানের পুঁজি। ব্যাট হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখানো তাওহীদ হৃদয় ৯৬ রান করে থেকে যান অপরাজিত।
আগের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের ইনিংস চলাকালে লঙ্কানদের বেশ ভুগিয়েছে শিশির, হারতে হয়েছে ম্যাচটাও। এবার তাই কুশল মেন্ডিস ভুল করেননি। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান লঙ্কান অধিনায়ক। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে এবারো গড়বড়, যথারীতি আউট লিটন দাস, যথারীতি ডাক! টানা দুই ইনিংসে লিটন শূন্য রানে আউট হয়ে যখন ওপেনিং জুটি নিয়ে বাড়ালেন দুশ্চিন্তা, তখন ত্রাতা হয়ে হাজির সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৭৫ রানের পার্টনারশিপ। ৩৯ বলে ৪০ রান করে দারুণ খেলতে থাকা শান্ত বিদায় নিলে সৌম্য এবার হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়ের সাথে।
দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য-হৃদয় জুটি এনে দেন ৫৫ রান। সৌম্য ফিফটি হাঁকানোর পর বনে যান বাংলাদেশের দ্রুততম ২ হাজার রান সংগ্রাহক। এর খানিক পর অবশ্য নিতে হয় বিদায়। তার আগে ৬৬ বলে ৬৮ রান করেন ১১টি চার, ১টি ছক্কায়।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এদিন লিটনের মতো ফেরেন শূন্য রানে। ১৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় দল। মুশফিকুর রহিম ২৮ বলে ২৫ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১৮ বলে ১২ রান করে বিদায় নিলেও হৃদয় আগলে রাখেন এক প্রান্ত।
৭ম উইকেটে তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। যুব বিশ্বকাপজয়ী দুই সতীর্থের জুটি ভাঙে সাকিব ৩৩ বলে ১৮ রান করে বিদায় নিলে। তবে ততক্ষণে অর্ধশতক হাঁকিয়ে হৃদয় খেলছেন বুঝেশুনে, একপর্যায়ে ছাড়িয়ে যান সৌম্যর ৬৮ রানের ইনিংসকেও। অল্পের জন্য পাননি সেঞ্চুরির দেখা। ১০২ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৯৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
শেষদিকে হৃদয়ের সাথে চড়াও হন তাসকিন আহমেদ। ১০ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনিও। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান দাঁড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ।