আপনার মন্তব্য পাঠাতে ফর্মটি ব্যবহার করুন৷
আপনার বার্তা
বিষয়
আপনার বার্তা
আপনার নাম
নামের শেষাংশ
লিঙ্গ



ইমেল ঠিকানা
শহর
দেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বসতি বাড়ছে, জাতিসংঘ বলছে ‘যুদ্ধাপরাধের শামিল’

প্রকাশিত - ০৮ মার্চ, ২০২৪   ০৮:১১ পিএম
webnews24
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধি পেয়েছে। ছবি: এপি
প্রতিবেদন: আল-জাজিরা

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বাস্তব সম্ভাবনা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, বসতি স্থাপনের মাধ্যমে ইসরাইল তার নিজস্ব বেসামরিক জনগণকে অধিকৃত অঞ্চলে স্থানান্তর করেছে, যা যুদ্ধাপরাধ।

দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অন্তরায় হিসেবে দেখে আসছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইল নতুন আবাসন পরিকল্পনা ঘোষণার পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, এসব বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে 'অসামঞ্জস্যপূর্ণ'।

ভলকার তুর্কের মতে, ইসরায়েলি সরকারের নীতিগুলো 'পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে দীর্ঘমেয়াদী নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করা এবং এই দখলকৃত অঞ্চলটিকে অবিচ্ছিন্নভাবে ইস্রায়েল রাষ্ট্রের সাথে একীভূত করার জন্য ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের লক্ষ্যগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।'

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বাস্তব সম্ভাবনা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, বসতি স্থাপনের মাধ্যমে ইসরাইল তার নিজস্ব বেসামরিক জনগণকে অধিকৃত অঞ্চলে স্থানান্তর করেছে, যা যুদ্ধাপরাধ।

দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অন্তরায় হিসেবে দেখে আসছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইল নতুন আবাসন পরিকল্পনা ঘোষণার পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, এসব বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে 'অসামঞ্জস্যপূর্ণ'।

ভলকার তুর্কের মতে, ইসরায়েলি সরকারের নীতিগুলো 'পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে দীর্ঘমেয়াদী নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করা এবং এই দখলকৃত অঞ্চলটিকে অবিচ্ছিন্নভাবে ইস্রায়েল রাষ্ট্রের সাথে একীভূত করার জন্য ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের লক্ষ্যগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।'

এছাড়া জোরপূর্বক উচ্ছেদ, ভবন পারমিট ইস্যু না করা, বাড়িঘর ধ্বংস এবং ফিলিস্তিনিদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টিও উঠে এসেছে বিবৃতিতে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স।

অবৈধভাবে ইসরায়েলি আবাসনগুলো বেড়েই চলেছে, এ নিয়ে ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ । ছবি: এএফপি

নতুন করে বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিলো ইসরায়েল

ইসরায়েলের বসতি স্থাপন-পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ গত বুধবার অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নতুন আবাসন ইউনিট স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। গত বছর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এমন অনুমোদন দেওয়া হলো। এই অনুমোদনের পর ইসরায়েলের মিত্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ ব্যাপক নিন্দার ঝড় তোলে।

ভলকার তুর্ক বলেন, মালে আদুমিম, ইফরাত ও কেদার এলাকায় বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে ইসরাইল।

জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই বসতি স্থাপন একতরফা ও অবৈধ পদক্ষেপ, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কাতার বলেছে, এই ধরনের পদক্ষেপ 'দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জন্য গুরুতর হুমকি এবং শান্তি প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে বাধা দেয়।'

জার্মানি ইসরায়েলকে এই পরিকল্পনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে এই পরিকল্পনাকে 'আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন' বলে অভিহিত করেছে।

এদিকে কট্টর ডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, শত্রুরা আমাদের ক্ষতি ও দুর্বল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা এই ভূমিতে বসতি নির্মাণ/গড়ে তোলা অব্যাহত রাখবো। গত এক বছরে ১৮ হাজার ৫১৫টি আবাসন ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়ক টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেছেন, পশ্চিম তীরে সব ধরনের বসতি স্থাপন 'আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ' এবং এটি 'সংঘাতের কারণ'।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা দুই আরব দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনও ইসরায়েলের পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা দখলের পর বসতি নির্মাণ শুরু করে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের বসতি স্থাপন করা অবৈধ।

 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন