![]() |
শাহিদুল তন্ময় |
হলুদ ও মরিচের গুঁড়োয় মেশানো হয় কেমিক্যাল রং আর ওজন বাড়াতে ব্যবহার করা হয় চাল, কাঠের গুঁড়ো ও আটা ময়দা। এমন অভিযোগ করেন চরফ্যাশনের একাধিক ভোক্তা। চরফ্যাশন পৌর বাজারের জনতা রোড ও কাপড়পট্টি রোডে অবস্থিত একাধিক মিলে রাতের আঁধারে ভাঙানো হচ্ছে মানহীন হলুদ-মরিচ। এসব মরিচ ও হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ক্যামিক্যাল জাতীয় কৃত্রিম রং। ভেজাল মেশানো হলুদ-মরিচের এসব গুঁড়া অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারের হোটেল রেস্তোরাঁসহ উপজেলার প্রত্যন্ত হাটবাজারের মুদি ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছে।
মানহীন ভেজাল হলুদ-মরিচের গুঁড়ার রান্না খেয়ে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন জটিল রোগে।
বাজারে আসা ক্রেতারা জানায়, ভোলা জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি না থাকা ও উদাসীনতার কারণেই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ জনগন। হলুদ মরিচের গুঁড়ার নামে খাওয়ানো হচ্ছে বিষ।
স্থানীয়রা জানায়, জনতা রোড ও কাপড়পট্টি রোডের একাধিক অসাধু মিল মালিক এবং মুদি ব্যবসায়ী ভেজাল হলুদ মরিচের গুঁড়ো বিক্রি করে রাতারাতি কালো টাকার মালিক বোনে গিয়েছে। এসব মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এদের সিন্ডিকেটকে আর নিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা। বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেন তাদের ব্যবসার সুনাম ক্ষুন্ন ও ক্ষতি করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য হাসিলের পাঁয়তারা করছে।
পৌরসভার বিশিষ্ট নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানহীন খাদ্যপণ্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা করা হয়না। বাজারে শুকনো মরিচের এক কেজির মূল্য ৫০০ টাকা অথচ গুঁড়ো মরিচেরও প্রায় সেইম মূল্য তাহলে মরিচের গুঁড়োয় কি ব্যবসায়ীরা মুনাফা করে না। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা হলুদ ও মরিচে ধানের গুঁড়া, আটা, ময়দা, কাউন ও ভুট্টার আটা, কাঠের গুঁড়া এসব মিক্সড করে দেদারসে বিক্রি করছে। রং ঠিক রাখার জন্য এসব গুঁড়োয় মানবদেহের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ক্ষতিকর জাপানী, ভারতীয় কৃত্রিম রং সহ ফার্নিচারে ব্যবহার করা রেড অক্সাইড ও এলোমাটির মতো রং ব্যবহার করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পণ্যের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাগরিক সমাজসহ সাধারণ ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা।
হলুদে ভেজাল মেশানোর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক জানান, ভেজাল ও মানহীন খাদ্যসামগ্রী এবং ভেজাল হলুদ মরিচের গুঁড়োর বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন শিগগিরই মাঠে নামবে।
গভীর রাতে যারা মিল পরিচালনা করে তাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি থাকবে। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আইনগত পদক্ষেপ নেবো।