আপনার মন্তব্য পাঠাতে ফর্মটি ব্যবহার করুন৷
আপনার বার্তা
বিষয়
আপনার বার্তা
আপনার নাম
নামের শেষাংশ
লিঙ্গ



ইমেল ঠিকানা
শহর
দেশ

কেন ইসরাইলের সঙ্গে ছিল রানির দূরত্ব?

User Image
  ওয়েব নিউজ
প্রকাশিত - ১৬ এপ্রিল, ২০২৫   ১০:২৩ পিএম
webnews24
ছবি : সংগ্রহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গোপন বৈঠকে ডেভিড লেমি, বিতর্কে জড়ালেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সারের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লেমি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লন্ডনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই। এই ঘটনায় ডেভিড লেমির কড়া সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ রাজনীতিকেরা। বিশেষ করে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক পদক্ষেপ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চালানো নিপীড়নের প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ রাজনীতিতে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব দীর্ঘদিন ধরেই স্পষ্ট।

এমনকি, প্রয়াত ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ইসরায়েল নিয়ে অবস্থানও ছিল যথেষ্ট কঠোর। ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন নিজেই এক অনুষ্ঠানে একথা স্বীকার করেছেন। লন্ডনে হাইফা টেকনিয়ন ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, রানি এলিজাবেথ মনে করতেন, “প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় একজন সন্ত্রাসী, নয়তো সন্ত্রাসীর সন্তান।”

তিনি আরও জানান, রানি ব্যক্তিগতভাবে চাইতেন না যে কোনো ইসরায়েলি কর্মকর্তা বাকিংহাম প্যালেসে প্রবেশ করুক। আন্তর্জাতিক কোনো সম্মেলন বা কূটনৈতিক প্রটোকল ব্যতীত তিনি কখনোই কোনো ইসরায়েলি প্রতিনিধিকে রাজপ্রাসাদে আমন্ত্রণ জানাতেন না।

রিভলিন ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের দশম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মন্তব্য অনুযায়ী, রানির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক বরাবরই ছিল জটিল এবং শীতল।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রানির ৭০ বছরের শাসনামলে তিনি ১২০টিরও বেশি দেশ সফর করেছেন, তবে কখনোই যাননি ইসরায়েলে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, রানির এই এড়িয়ে চলার পেছনে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। বিশেষ করে ১৯৪০-এর দশকে, ব্রিটিশ শাসনের সময় ফিলিস্তিনে ইহুদি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংস বিদ্রোহ রানির মনোভাবকে প্রভাবিত করেছিল বলে মনে করা হয়।

২০১২ সালে হারেৎজ পত্রিকায় লিখেছিলেন সাবেক সম্পাদক ডেভিড লানদাও, যদি রানি সত্যিই ইসরায়েল সফর করতে চাইতেন, তবে তিনি সহজেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, যা রাজপরিবারের নিরব বার্তাকেই তুলে ধরে।

রানির ইসরায়েলবিরোধী মনোভাবের আরেকটি দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ১৯৮৪ সালের জর্ডান সফরের সময়। ওই সফরে তিনি পশ্চিম তীরের আকাশে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়তে দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন এবং এ নিয়ে তার উদ্বেগের কথাও প্রকাশ করেছিলেন।

রানির মৃত্যুর পর কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইসরায়েল গ্রুপের অনারারি প্রেসিডেন্ট স্টুয়ার্ট পলক অভিযোগ করেছিলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েল সফরের বিষয়ে রাজপরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে এই দাবি কতটা সত্য, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

বর্তমানে রাজার দায়িত্ব পালন করছেন তৃতীয় চার্লস, যিনি বাকিংহাম প্যালেসে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করছেন।

ডেভিড লেমির সাম্প্রতিক ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গোপন বৈঠক তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ব্রিটিশ রাজনীতিতে ইসরায়েলবিষয়ক আলোচনা নতুন নয়, তবে এটি যে ভবিষ্যতে আরও আলোড়ন তুলবে—তা সহজেই অনুমেয়।

ব্রিটিশ ইসরায় যুক্তরাজ্য
ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন