ওয়েব নিউজ |
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার মির্জারগড় গ্রামের ইতালি প্রবাসী আব্দুল মুমিনের বসতঘরে প্রতিপক্ষ আব্দুল্লাহ, সিলেটের বোখারা মিডিয়ার পরিচালক আবুল কালাম আজাদ-এর নেতৃত্বে হামলা-ভাঙ্গচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৯ এপ্রিল ইতালি প্রবাসী আব্দুল মুমিনের স্ত্রী ফাতেহা বেগমের উপর হামলা করে আবুল কালাম বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রী দৌড়ে ঘরে গিয়ে নিজেকে ও সন্তানদের রক্ষা করেন।
ঘটনার পর ফাতেহা বেগম বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ২১/ ২০২৪ ইংরেজি)। মামলার এজহারে অভিযুক্ত ৩ আসামী হলেন কানাইঘাট থানার মির্জারগড় গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের পুত্র মো: আব্দুল্লাহ (৪৬), আবুল কালাম আজাদ (৩৬) ও মো: আব্দুল্লাহের পুত্র মাহিন আহমদ (২০)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ইতালি প্রবাসী আব্দুল মুমিনের বসতবাড়ীর রাস্তার উপর ঝড়ের কারণে একটি গাছের চারা পড়লে এই গাছের চারাটি ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেহা বেগম সরাতে গেলে আবুল কালামের গোল্লা বাহিনী বাধা প্রদান করে। এসময় ইতালি প্রবাসী আব্দুল মুমিনের স্ত্রী ফাতেহা বেগম প্রতিবাদ করলে তারা তার উপর হামলা করে এবং তার বসত করে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ সময় সন্তান আর নিজের জীবন রক্ষা করতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে দৌড়ে ঘরে গিয়ে নাবালক ছেলে সন্তানদের নিয়ে নিজের বসতঘরের বাথরুম আশ্রয় গ্রহণ করেন। এরপর ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় কটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদেরকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।
ইতালি প্রবাসী আব্দুল মুমিনের স্ত্রী ভুক্তভোগী ফাতেহা বেগম জানান, আমি পুলিশের সহযোগিতায় ঘর থেকে বের হই। তিনি আরো বলেন পুলিশ চলে যাওয়ার পর দেখতে পান পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ঘরের ভিতর তান্ডব চালায় । পরে আবুল কালামের গোল্লা বাহিনীরা ঘর থেকে বের হয়ে গেলে আলমারিতে রাখা টাকা এবং স্বর্ণালংকার যথাস্থানে স্থানে। অভিযুক্তরা তা লুট করে নিয়ে গেছে।
ইতালি প্রবাসী আব্দুল মুমিনের স্ত্রী বলেন আদালতে মামলা দেওয়ার পর থেকেই আবুল আবুল কালামের গোল্লা বাহিনী, আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে মাহিন বার বার প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।বর্তমানে নাবালক ছেলে মেয়েদের নিয়ে খুবই অসহায়ত্ব জীবনযাপন করছি।তিনি এ মুহূর্তে নিজের বসতবাড়ি ছেড়ে আবুল কালাম বাহিনীর ভয়ে ফাতেমার বাবার বাড়িতেই বসবাস করছে ।ফাতেমা আরো বলেন আবুল কালাম বাহিনীর কারণে সৌদি প্রবাসী আব্দুল মোমিন ও ব্যবসায়ী ফয়সাল সহ আমরা তিনটি পরিবার হত্যার হুমকি বিদ্যমান তাকায় নিজ বাসায় উঠতে পারছি না এবং থানায় মামলা করেও পাচ্ছিনা নিজের জানের নিরাপত্তা।
এলাকা ও থানা সূত্র জানা গেছে বোখারা মিডিয়া পরিচালক আবুল কালামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।সর্বশেষ মামলাটি করেন ইতালি প্রবাসী আব্দুল মুমিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম কিন্তু মামলার পর থেকে আসামিরা এলাকায় অবাধে চলাফেরা করছে পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার করছে না ।ইতালি প্রবাসী ও তার স্ত্রী প্রশাসনের কাছে দ্রুত সন্ত্রাসদের কে গ্রেফতার করে আইনের আওতার এনে বিচারের দাবি জানান ।
এ বিষয়ে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত নং-০৫, সিলেট, আসামীদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এলাকা ও তার ছোট ভাই ফয়সলের কাছ থেকে জানা গেছে বোখারা মিডিয়ার পরিচালক আবুল কালামের প্রতিষ্ঠানে তারই আপন ছোট ভাই ফয়সাল আহমেদ দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি বোখারা মিডিয়া কাজ করেন।একসময় ফয়সালকে বলা হতো তোমার টাকা ব্যাংকে জমানানো হচ্ছে কিন্তু ফয়সল চলে যাওয়ার সময় তাকে কোন টাকা পয়সা দেওয়া হয়নি। ফয়সালের দাবি বোখারা মিডিয়ায় বেতন বাবদ তার ২০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে এ ব্যাপারে একটি মামলাও করেছেন ফয়সাল । মামলা করার পর থেকে এখনো কোনো টাকার সুরাহা হয়নি ।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বোখারা মিডিয়ার পরিচালক আবুল কালামের সাথে মুঠোফোন বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।