ওয়েব নিউজ |
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। প্রায় ৫৫ লাখের অধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ফ্রান্স। যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮.৯ শতাংশ। যার মধ্যে
বাংলাদেশি মুসলমানের সংখ্যা প্রায় এক লাখের কাছাকাছি।
এবার ধর্মীয় উৎসব পালনে সরকারি কোন ধরনের বিধিনিষেধ না থাকায় ঈদুল ফিতরে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যান্য কমিউনিটিরসঙ্গে বাংলাদেশিরাও একত্রে নামাজ আদায় করেন।ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা সারসেল, অবারভিলিয়ে, ইস্তা, মেট্রো হোসসহ বিভিন্ন মসজিদ ও খোলা মাঠে ছিল লোকে লোকারণ্য। বিভিন্ন স্থানে সকাল ৭.৩০মিনিটে শুর হয় প্রথম জামাত এবং ১২.৩০ মিনিট পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলে বেশ কয়টি ঈদের জামাত।
দেশটিতে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের প্রায় কয়েক লক্ষ মুসলিমরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। বিভিন্ন নামাজের স্থানে নারীদের নামাজের জন্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। নামাজ শেষে বাংলাদেশি কমিউনিটির রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন পর একে অপরকে কাছে পেয়ে কোলাকুলির মাধ্যমে কুশল বিনিময় করেন। যা অত্যন্ত ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ। পরে নেতৃবৃন্দরা বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। ফ্রান্সে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙ্গালীরা প্রবাসে পরিবার ছাড়া ঈদ কেমন কাটছে তার অভিমত ব্যক্ত করেন ।প্রবাসে স্বজন ছাড়া ঈদ আসলেই কষ্টদায়ক তবে রুমমেট এবং বন্ধুবান্ধব মিলে একসঙ্গে আড্ডা দিয়ে আনন্দকে ভাগাভাগি করে ভুলে থাকতে হয় পরিবারের কষ্ট।
স্থানীয় সময় বিকাল তিনটার দিকে বাংলাদেশী অধ্যাসিত এলাকার পাশেই পার্ক দো লা ভিলেত পার্কে বাংলাদেশিরা জড়ো হন । এতে দেখা যায় পার্কের ভিতর বাংলাদেশিরা বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করেন।আবার দেখা যায় পার্কের বিভিন্ন স্থানে বসে কেউ কেউ গানও গাচ্ছে ।খেলায় অংশগ্রহণ করে কেউ আবার গান শুনে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, স্বজন ছাড়া ঈদ আর এখানে এসে প্রবাসীদেরকে একসাথে দেখে সত্যিকার অর্থেই ভালো লাগছে এবং নিজের দেশেই ঈদ উদযাপন করছেন বলেই মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তারা।