সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষকের গুলিতে আরাফাত আশিক ওরফে তমাল (২৩) নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত তমাল বগুড়ার সদর এলাকার ধানসিঁড়ি নাটাইপাড়া মহল্লার আলামিনের ছেলে।
এ ঘটনায় শিক্ষক ডা. রায়হান সাদিককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, সোমবার বিকেলে সাড়ে ৩ টায় ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাশ চলছিল। এ ক্লাশ রুমে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের একাধিকবার ফেল করানোর ভয় দেখান। এ নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মারমুখী হয়ে উঠলে তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রকে পিস্তল দিয়ে পায়ে গুলি করা হয়। ওই শিক্ষকের হাতে শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধের ঘটনা নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাড়ায় উত্ত্যেপ্ত ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
এ সংবাদে পুলিশ ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ওই শিক্ষক ডা. রায়হান সাদিককে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ওই মেডিকেল হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে জোর চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে ওই কলেজের প্রিন্সিপল অধ্যাপক ডা. আমিরুল হোসেন চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এদিকে এ ঘটনায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাড়ায় অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে।