![]() |
ওয়েব নিউজ |
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শুক্রবার বলেছেন, মার্চে দেশের স্থানীয় নির্বাচনই হবে তার শেষ নির্বাচন। খবর এএফপির।
২০০৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান এবারই প্রথম ভবিষ্যতের আর কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেন।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন এরদোয়ান। তার এই বক্তব্যে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। হয়তো এবারের মেয়াদ পূর্ণ করার পর সামনে তাকে আর রাজনীতির মাঠে নাও দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তুরস্কের একটি ফাউন্ডেশনের সভায় এরদোয়ান বলেন, ‘আমি অবিরাম কাজ করেছি। আমরা শ্বাসরুদ্ধকরভাবে চারপাশে দৌড়াচ্ছি কারণ আমার জন্য এটিই শেষ। আইন আমাকে যে কর্তৃত্ব দিয়েছে তার অধীনে এই নির্বাচনই আমার শেষ নির্বাচন।’
৭০ বছর বয়সী এই নেতা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, তিনি পদ ছাড়ার পরেও তার দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ক্ষমতায় থাকবে।
এরদোয়ান বলেছিলেন, ৩১ মার্চের স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল আমার পরে আসা ভাইদের জন্য আশীর্বাদ। জনগণের আস্থার যাবে তাদের ওপর।
মার্চের স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদ ফিরে পাওয়ার আশা করছে একেপি। ২০১৯ সাল থেকে শহরের মেয়র পদে আছেন এরদোয়ানের বিরোধী দল। এমনকী এরদোয়ান নিজেও ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন।
২০০৩ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেসময় প্রধানমন্ত্রী ছিল তুরস্কের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। পরেরবার ২০১৪ সালে এরদোয়ান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে এই ধারা পরিবর্তন করেন। সেই থেকে তুরস্কের প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন রাষ্ট্রপতি।
২০১৭ সালে একটি সাংবিধানিক পরিবর্তনের মাধ্যমে তুরস্ককে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে নির্বাহী প্রেসিডেন্সিতে পরিণত করেন এরদোয়ান। প্রধানমন্ত্রীর পদটি বাতিল করা হয় এবং ক্ষমতায় এরদোয়ানের দখল অপরিবর্তিত থাকা নিশ্চিত করা হয়।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এরদোয়ানের রাজনৈতিক আধিপত্যের শেষ হওয়া নিয়ে সমালোচনা করছেন। মানবাধিকার কর্মী এরকান ওজকান এক্সে লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করবেন না। আমরা জানি তিনি বারবার তার পুনর্নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করার চেষ্টা করছেন।’
২০০২ সালে একেপি পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এরদোয়ান একজন অপরাজেয় নেতা হিসেবে খ্যাতি গড়ে তুলেছেন। তবে ২০১৯ সালে ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারার মেয়র পদ হারায় তার দল। গত মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে গড়িয়েছে।