রোমানিয়া থেকে অনিয়মিত উপায়ে হাঙ্গেরি সীমান্ত অতিক্রমের সময় বিভিন্ন দেশের ১৭ অভিবাসীকে দুইটি আলাদা অভিযানে আটক করেছে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ৷ অভিবাসীদের সবাই দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে বুখারেস্ট।
শুক্রবার (১ মার্চ) প্রকাশিত প্রথম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, বিহোর ডায়োসিস সীমান্ত পয়েন্ট থেকে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ১০ জন নাগরিককে শনাক্ত করা হয়েছে৷
তারা রোমানিয়া-জার্মানি রুটে চলমান একটি মালবাহী ট্রেনের বগির সেমি-ট্রেলারে লুকিয়ে ‘অবৈধভাবে’ হাঙ্গেরি সীমান্ত অতিক্রম করে চেষ্টা চালায় বলে জানায় বর্ডার পুলিশ৷ তাদেরকে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে পাচারের উদ্দেশ্যে ট্রেনের কার্গো বগিতে লুকিয়ে রেখেছিল পাচারকারীরা৷
অভিবাসীদের বিশদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঐ অঞ্চলের পুলিশ সদর দপ্তরে নিয়ে যায়৷ সেখানে ২৪ থেকে ৩৯ বছর বয়সি অভিবাসীদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হয়৷ তারা বৈধ ভিসা নিয়ে রোমানিয়ায় প্রবেশ করেন৷
দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয় শনিবার (২ মার্চ)৷ ওইদিন নাদলাক-২ সীমান্তে আসা একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাত অভিবাসীকে খুঁজে পান সীমান্তের কর্মকর্তারা৷ গাড়িটির চালক ছিলেন ২২ বছর বয়সি রোমানীয় এক নাগরিক৷ রোমানিয়াতে নিবন্ধিত গাড়িটি নিয়ে তিনি রোমানিয়া-স্লোভেনিয়া রুটে যাতায়াত করেন বলে শুল্ক কর্মকর্তাদের জানান৷
চালকের আচরণে সন্দেহ হলে গাড়িতে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ৷ এক পর্যায়ে সেখান থেকে ২১ থেকে ৪৯ বছর বয়সি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাত নাগরিকের সন্ধান পায় পুলিশ৷
উভয় অভিযানে আটক অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাব সীমান্ত পাড়ি দেয়ার অপরাধে বিচারিক তদন্ত শুরু হয়েছে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে রোমানিয়া ত্যাগের আইনি নোটিশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ এছাড়া, গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
রোমানিয়ার জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) চলতি বছরের শুরুতে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশের মোট এক হাজার ২২২ জন নাগরিককে নিজস্ব এস্কর্ট দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ তাদের মধ্যে ৩৯৭ জন বাংলাদেশের নাগরিক৷