ওয়েব নিউজ |
আইরিশ সরকার বলছে মে মাসের শেষের দিকে দেশটি একটি আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে। এই আইনের ফলে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত দিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের যুক্তরাজ্যে ফেরত পাঠানোর সুযোগ তৈরি হবে।
আইরিশ বিচারমন্ত্রী হেলেন ম্যাকেন্টি বলেছেন, এই জরুরি আইনের ফলে তার সরকার অভিবাসীদের আশ্রয়প্রার্থনার আবেদন দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের অনুমতি পাবে।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা যখন ফেরত পাঠানোর কথা বলি তখন এটাকে কখনই প্রতিষেধক হিসাবে তুলে ধরি না৷ সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে যদি আমরা একটি কার্যকর অভিবাসনব্যবস্থার সুযোগ তৈরি করতে পারি৷ এর ফলে একটি শক্তিশালী কিন্তু ন্যায্য দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব যাতে আবেদনগুলোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যায়৷’’
গত মাসে যুক্তরাজ্য থেকে আশ্রয় চেয়ে আয়ারল্যান্ডে আসা অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি রায় দেয় আইরিশ হাইকোর্ট৷। আদালত জানায়, অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেয়ার সময় তারা কোনো ঝুঁকিতে পড়বে কিনা তা সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি আইরিশ সরকার৷
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস জানিয়েছেন, নতুন আইনে ২০২০ সালে যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সই হওয়া একটি চুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগের নির্দেশনা থাকবে৷
যুক্তরাজ্যকেও এই চুক্তির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন হ্যারিস৷ চুক্তিটি অনুসারে আশ্রয়প্রার্থীদের সীমান্তের দুই পাড়েই পাঠানোর সুযোগ রয়েছে৷
হেলেন ম্যাকেন্টি জানিয়েছেন, করোনা মহামারির সময় চুক্তিটি স্থগিত করায় ২০২০ সালের পর থেকে কাউকেই আয়ারল্যান্ড থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়নি।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক মন্তব্য করেছেন, আয়ারল্যান্ডে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াই প্রমাণ করে যে রুয়ান্ডা নীতি কাজ করছে।
কিন্তু তার এমন মন্তব্যের বিপরীতে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীর সংখ্যায় রেকর্ড হয়েছে। বুধবার এক দিনে চ্যানেল অতিক্রম করে ৭০০ জনেরও বেশি অভিবাসী যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। এ বছর একদিনে চ্যানেল পারাপারের এটিই নতুন রেকর্ড।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে বুধবার ১৪টি নৌকায় মোট ৭১১ জন চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন। এই নিয়ে এ বছর চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীর সংখ্যা দাঁড়ালো আট হাজার ২৭৮ জনে।এডিকে/এফএস (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)