ওয়েব নিউজ |
পাঁচ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দেওয়ার পর ছিনতাই হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ জন ক্রুকে ছেড়ে দিয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
আব্দি রাশিদ ইউসুফ নামে এক জলদস্যু রয়টার্সকে বলেন, দুই রাত আগে আমাদের কাছে টাকা আনা হয়েছে। টাকাগুলো জাল কিনা তা আমরা যাচাই করে দেখেছি। এরপর আমরা টাকাগুলো বিভিন্ন দলে ভাগ করে সরকারি বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে নিজেরা চলে যাই। জাহাজটির সব ক্রুকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সামুদ্রিক সূত্রগুলো বলছে, জলদস্যুরা হয়তো ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি গোষ্ঠীর হামলার কারণে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিচ্ছে।
এর আগে আজ ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই পৌঁছাতে ৫ থেকে ৭ দিন লাগতে পারে। দুবাই পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক চাইলে জাহাজ চালিয়ে চট্টগ্রামে আসতে পারে অথবা তারা যদি বিমানে করে দুবাই থেকে চট্টগ্রামে আসতে চায় সেই সুযোগও দেওয়া হবে। এসবের সবই নির্ভর করছে নাবিকদের ইচ্ছের ওপর।