ওয়েব নিউজ |
সুইডেনে একাধিকবার মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানো এক ইরাকি নাগরিক বুধবার জানিয়েছেন যে স্টকহোম কর্তৃপক্ষ তাকে বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি নরওয়েতে আশ্রয় চাইবেন৷
৩৭ বছর বয়সি সালওয়ান মমিকা গত কয়েক বছরে একাধিকবার কোরআন পোড়ানোর আয়োজন করেন, যা মুসলমানদের কাছে অবমাননাকর মনে হয়েছে৷
সুইডেনের ট্যাবলয়েড এক্সপ্রেসেনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি নরওয়ের পথে রয়েছি৷ সুইডেন শুধুমাত্র সন্ত্রাসীদের আশ্রয় এবং নিরাপত্তা দেয়, আর দার্শনিক এবং চিন্তাবিদদের বহিষ্কার করে৷’’
মমিকার প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানোর উস্কানিমূলক ভিডিও নিয়ে সারাবিশ্বেই বিতর্ক হয়েছে৷ বিশেষ করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এই বিষয়টির সমালোচনা করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ অনেক স্থানে দাঙ্গা এবং অস্থিরতাও দেখা গেছে৷ সুইডেনে জাতিগত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তও করা হচ্ছে৷
এক্সপ্রেসেনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সুইডেনের ন্যাটো যোগদান বিলম্বিত হওয়ার পেছনে মমিকাও একটি কারণ ছিল৷ চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটি এই জোটের সদস্য হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে৷ ন্যাটো সদস্য তুরস্ক কোরআন পোড়ানোর বিরোধিতায় আরো কয়েকটি দেশের মতো সরব ছিল৷ আঙ্কারার বিরোধিতার কারণে স্টকহোমের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়৷
সুইডেনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ গত অক্টোবরে মমিকার দেশটিতে বসবাসের অনুমতি বাতিল করে৷ তারা জানায় যে তিনি আবেদনে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন৷ তাই তাকে ইরাকে বিতাড়ন করা হবে বলেও জানায় সুইডেনের কর্তৃপক্ষ৷
সুইডেনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মমিকাকে ২০২১ সালে দেশটিতে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছিল৷
গত বছর তাকে বিতাড়নের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পাশাপাশি চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে থাকার সাময়িক অনুমতিও দেয়া হয়েছিল বলে লিখেছে এক্সপ্রেসেন৷
সংবাদপত্রটিকে মমিকা বলেন, ‘‘আমি এমন একটি দেশে যাচ্ছি যেটি আমাকে স্বাগত এবং সম্মান জানাচ্ছে৷ সুইডেন আমাকে সম্মান করেনি৷’’
এক্সপ্রেসেনকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় নরওয়ের মধ্যে ছিলেন বিতর্কিত এই অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ তিনি তখন দেশটির রাজধানী অসলোর পথে ছিলেন৷ নরওয়ে কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি৷