![]() |
ওয়েব নিউজ |
বেলুচিস্তানের খোস্ত এলাকায় বেসরকারি ঐ খনির প্রায় ৮০০ ফুট গভীরে আটকা পড়েছিলেন শ্রমিকেরা৷
সারারাত উদ্ধার তৎপরতা চালানোর পর বুধবার সকালে তার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছেন বেলুচিস্তানের প্রধান খনি পরিদর্শক আব্দুল গনি বালুচ৷
সব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ জীবিতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
বেলুচিস্তানের খনি বিভাগের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ শাওয়ানি এএফপিকে বলেন, ‘‘প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, মিথেন গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে৷''
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন৷
বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড়, কিন্তু সবচেয়ে দরিদ্র প্রদেশ৷ সেখানে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ আছে৷ কিন্তু স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, তাদের ন্যায্য ভাগ দেওয়া হয় না৷
পাকিস্তানের খনিগুলোতে কাজের পরিবেশ বিপজ্জনক এবং সেখানকার নিরাপত্তা মান দুর্বল৷ তাই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়৷
বেলুচিস্তান কয়লাখনি শ্রমিক ফেডারেশনের প্রধান লালা সুলতান এএফপিকে বলেন, ‘‘এই দুর্ঘটনা বেলুচিস্তানে প্রথম নয়, এবং শেষও হবে না৷''
তিনি বলেন, ‘‘কয়লাখনিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব কমই বাস্তবায়িত হয়৷ অন্যান্য প্রদেশে কিছু নিরাপত্তা প্রোটোকল থাকলেও বেলুচিস্তানে নিরাপত্তা একেবারেই উপেক্ষিত৷''
একই এলাকায় ২০১৮ সালে দুটি কয়লাখনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে ২৩ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছিলেন৷
২০১১ বেলুচিস্তানের আরেক কয়লাখনি গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে ধসে গেলে ৪৩ জন নিহত হন৷