আপনার মন্তব্য পাঠাতে ফর্মটি ব্যবহার করুন৷
আপনার বার্তা
বিষয়
আপনার বার্তা
আপনার নাম
নামের শেষাংশ
লিঙ্গ



ইমেল ঠিকানা
শহর
দেশ

আলেমরা কেন বিড়াল পালেন?

User Image
  ওয়েব নিউজ
প্রকাশিত - ১৭ মার্চ, ২০২৪   ০২:০৩ পিএম
webnews24
ছবি: || ওয়েব নিউজ
নিজেস্ব প্রতিবেদক

শায়খ আহমদুল্লাহ থেকে শুরু করে মাওলানা তারেক জামিল বা মুফতি মেনক ইদানীং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকলেই দেখা যায় অনেক বিড়াল নিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন। বেশ কিছু সময় আগে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও সবার মনে আছে। যেখানে দেখা যায়,নামাজরত অবস্থায় ইমামের বুকের উপর একটি বিড়াল উঠে যায় এবং ইমামও বিড়াল টিকে পরম আদর করে কাধে তুলে নিয়েই নামাজ পড়াচ্ছেন। কিন্তু কখনও কি প্রশ্ন জেগেছে আলেমরা কেন বিড়ল পালন করেন? বা বিড়াল নিয়ে ইসলামে কি বলা আছে? ধারণা করা হয় আজ থেকে প্রায় ১২ হাজার বছর আগে প্রথম মানুষ বিড়াল পালা শুরু করে।

বর্তমানে যত বিড়াল দেখা যায় এরা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বন বিড়ালের বংশধর। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায়ও বিড়াল পালনের প্রমাণ পাওয়া যায়।মূলত কৃষকরা ইঁদুরের হাত থেকে তাদের ফসল বাঁচাতে বিড়াল পালা শুরু করে।একইভাবে ইঁদুরের হাত থেকে বাঁচতে জাহাজের নাবিকরাও বিড়াল নিয়ে ভ্রমণ করতেন। ফলে,বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে গৃহপালিত এই প্রাণীটি।

ইসলামে বিড়ালের একটি বিশেষ স্থান আছে।এদেরকে পবিত্র প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করেন মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)।আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত মহানবী আ(সাঃ) বলেন, বিড়াল নামাজে বিঘ্ন ঘটায় না,কারণ এরা ঘরের জন্য উপকারী। কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে মহানবী (সাঃ) ওযুর পাত্র থেকে যখন কোনো বিড়াল পানি খেতো তিনি সেই পানি দিয়েই ওযু করতেন।

মহানবী (সাঃ) এর একজন সাহাবী ছিলেন যার নাম ছিলো আব্দুর রহমান।তিনি বিড়াল পছন্দ করতেন আর সবসময় তার সাথে বিড়াল থাকতো।একদিন তিনি তার জামার ভেতর একটি বিড়াল ছানা লুকিয়ে মসজিদে আসলেন।কিছুক্ষণ পর সেই বিড়াল তার জামা থেকে বের হয়ে মসজিদে ছোটাছুটি করা শুরু করলো।মহানবী (সাঃ) এই ঘটনা দেখে তাকে আবু হুরায়রা নামে ডাকেন।যার অর্থ বিড়ালের পিতা।আব্দুর রহমান (রাঃ) এই নামটি এতোই পছন্দ হয় যে তিনি পরবর্তীতে নিজের নাম আবু হুরায়রা রাখেন।ইনিই হচ্ছেন সেই বিখ্যাত আবু হুরায়রা (রাঃ) যিনি সবচেয়ে বেশী হাদিস বর্ণনা করেছেন।

মহানবী (সাঃ) এমন একজন মহিলার কথাও বলেন যে দোজখে যাবে। কারণ, সে একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখে তাকে খাবার দেয় না।এমনকি ছেড়েও দেয় না।ফলে বিড়ালটি ওই অবস্থায়ই মারা যায়।এছাড়াও মহানবী (সাঃ) কোনো অর্থের বিনিময়ে বিড়াল কেনাবেচা করা একদম নিষেধ করেছেন।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল একটি পবিত্র প্রাণী।কারণ বিড়াল সবসময় পরিষ্কার থাকতে পছন্দ করে।এরা নিজেরাই নিজেদের পরিষ্কার রাখে। শুধু তাই না এরা যেখানে সেখানে না বরং নির্দিষ্ট স্থানে মলমূত্রত্যাগ করে আর তা ঢেকে দেয়।ফলে দূর্গন্ধ জীবাণু ছড়ানোর ভয় থাকে না।একারণেই দেখা যায় অনেক আলেমরা বিড়াল পালেন।এমনকি মদিনায় মসজিদে নববীতে মানুষের পাশাপাশি বিড়ালেরও বিচরণ রয়েছে।

 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন