![]() |
ওয়েব নিউজ |
বাংলাদেশিসহ ২১৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী তিনটি আলাদা নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইটালির দক্ষিণের ছোট্ট দ্বীপ লাম্পেদুসায় পৌঁছেছেন৷ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নৌকা তিনটি দ্বীপটিতে পৌঁছায় বলে জানিয়েছে ইটালির বার্তা সংস্থা আনসা৷
বার্তা সংস্থাটি তাদের খবরে জানিয়েছে, আগের দিন অর্থাৎ বুধবার রাতেও কয়েকটি গ্রুপে ১০৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী সিসিলিয়ান দ্বীপটিতে পৌঁছেছেন৷
বৃহস্পতিবার সকালে আসা প্রথম নৌকাটিতে ৪৫ জন আরোহী ছিলেন৷ তাদের সবাই টিউনিশিয়া ও সিরিয়ার নাগরিক৷ এদের মধ্যে ছয় জন অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং চার জন নারী ছিলেন৷ আফ্রিকান দেশ টিউনিশিয়ার চেব্বা উপকূল থেকে ইটালির উদ্দেশে রওনা হয় নৌকাটি৷
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় নৌকাটি এসেছে লিবিয়ার জুওয়ারা থেকে৷ একটি নৌকায় ছিলেন ৪৫ জন এবং অপর নৌকায় ছিলেন ১২৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ তারা সবাই নিজেদের বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরিত্রিয়া, সুদান, মরক্কো, সিরিয়া, মিশর এবং ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেছেন৷ তবে কত জন বাংলাদেশি নৌকা দুটিতে ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷
নতুন আসা সবাইকে দ্বীপের কনত্রাদা ইমব্রিয়াকোলা অভিবাসী অভ্যর্থনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ অভিবাসী শিবিরটিতে এই মুহূর্তে ৩২৪ জন আশ্রয়প্রার্থী রয়েছেন৷
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরে একটি অভিবাসীবাহী নৌকা থেকে ৫৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করেছিল অভিবাসীদের উদ্ধারে কাজ করা জাহাজ সি-আই-ফোর৷ তাদের বেশিরভাগই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক৷
ওইদিন ভূমধ্যসাগরে মাল্টার অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অঞ্চলে দুর্দশাগ্রস্ত নৌকাটির ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে যায় সি-আই-ফোর নামের উদ্ধারকারী জাহাজটি৷ নাবিকেরা অভিবাসীবাহী নৌকাটির ডেকে চার জনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান৷ তাদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন৷
উদ্ধার করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশি হলেও, মোট কতজন বাংলাদেশি সেখানে ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ যে দুইজন মারা গেছেন, তাদের জাতীয়তার বিষয়েও কোনো তথ্য দিতে পারেনি সি-আই-ফোর৷
সংস্থাটির মুখপাত্র গর্ডেন ইসলার ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানিয়েছেন, ‘‘নৌকাটিতে থাকা বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন বাংলাদেশি৷ এছাড়াও সিরিয়ান ও পাকিস্তানি নাগরিকও ছিলেন সেখানে৷ তবে, যে দুইজন মারা গেছেন, তারা কোন দেশের নাগরিক তা বলতে পারছি না৷’’